Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ মে ২০১৯

আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন।


প্রকাশন তারিখ : 2019-05-18

      

ঢাকা, ১৮ মে ২০১৯। আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস। জাদুঘরসমূহের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান International Council of Museums (ICOM) দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রতি বছর একটি করে প্রতিপাদ্য বিষয় নির্বাচন করে। এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় 'Museums as Cultural Hubs: The Future of Tradition' বাংলায় সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে জাদুঘর: ঐতিহ্যের ভবিষ্যৎ। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি শিল্পী হাশেম খান বেলুন, ফেস্টুন ও কবুতর উড়িয়ে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবসের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন। আগত দর্শকদের মাঝে টি-শার্ট ও ক্যাপ বিতরণ করা হয়। এরপর জাদুঘর প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করেন জাদুঘরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। জাদুঘর ভবনের তৃতীয় তলায় নবসজ্জিত ২৩ নম্বর অস্ত্রশস্ত্র গ্যালারি উদ্বোধন শেষে জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে আমার দেখা জাদুঘর শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং নতুন কলেবরে মুদ্রিত জাদুঘরের ত্রৈমাসিক পত্রিকা জাদুঘর সমাচার-এর মোড়ক উন্মোচন করেন। অনুষ্ঠানমালার শেষাংশে নলিনীকান্ত ভট্টশালী: বাংলার প্রত্নগবেষণায় একনিষ্ঠ সাধক শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হয়।  

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট গবেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনেওয়াজ। সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক জনাব আলী ইমাম, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক ড. সোনিয়া নিশাত আমিন, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন এবং বিশিষ্ট ফোকলোরবিদ ও বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।  অনুষ্ঠানমালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি শিল্পী হাশেম খান। 

স্বাগত ভাষণে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে আজ আমরা আয়োজন করেছি নলিনীকান্ত ভট্টশালী: বাংলার প্রত্নগবেষণায় একনিষ্ঠ সাধক শীর্ষক সেমিনার। আমরা মনে করি আজকের সেমিনারটি আপনাদের সকলের বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে অনুপ্রাণিত করবে এবং অনেক জানা-অজানা কথা জানতে পারবে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনেওয়াজ বলেন, নলিনীকান্ত ভট্টশালী ছিলেন একজন ইতিহাসবেত্তা, প্রত্নতত্ত্ববিদ, মুদ্রাবিজ্ঞানী, লিপিবিশারদ ও প্রাচীন বিষয়াবলি সম্পর্কে বিখ্যাত পণ্ডিত। তিনি আিও বলেন, প্রাচীন ও মধ্যযুগের বাংলার ইতিহাস ও সংস্কৃতির বহু অস্পষ্টতা অপসারণে তাঁর বিশাল অবদান রয়েছে। ১৯১৪ সালে তিনি সদ্যপ্রতিষ্ঠিত ঢাকা জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে যোগদান করেন। জাদুঘরের চৌহদ্দির মধ্যেই কেটেছে তাঁর সারা জীবন। অসাধারণ নিষ্ঠা ও কর্মশক্তি বলে তিনি এই সংগ্রহশালাকে খ্যাতিসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করেছিলেন। এর গঠনমূলক পর্যায়ে ঢাকা জাদুঘর ও ভট্টশালী ছিলেন অবিচ্ছেদ্য। আজকের জাতীয় জাদুঘরের ভ্রূণশিশু ছিল এই ঢাকা জাদুঘর। প্রত্ন বস্তু সংগ্রহ, শ্রেণিকরণ, এসবের ঐতিহাসিকতা নিশ্চিতকরণ ও শৈলী বিচারের গুরুদায়িত্ব গ্রহণ করে তিনি উত্তরসূরিদের এগিয়ে চলার সোপান তৈরি করে দিয়েছিলেন। তাঁর রচিত গ্রন্থ ও প্রবন্ধগুলো এরই স্বাক্ষর বহন করছে। প্রত্নগবেষক এই ক্ষণজন্মা মানুষটির জীবন তর্পণ ও কর্ম সংরক্ষণের মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে প্রজন্ম প্রণোদিত হবে।

আলোচনায় জনাব আলী ইমাম বলেন, জাতি হিসেবে বাংলাদেশের আছে হাজার বছরের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্য। জাদুঘর হচ্ছে সংস্কৃতির প্রতিরূপ। নলিনিকান্ত ভট্টশালীর প্রচেষ্টার জন্যই আমরা আজকের এই জাদুঘরকে পেয়েছি। একটি দেশের জাদুঘর পরিদর্শনের মাধ্যমে জানা যায় ঐ জাতি ঐতিহাসিক ভাবে কতটা সমৃদ্ধ।

অধ্যাপক ড. সোনিয়া নিশাত আমিন বলেন, নলিনিকান্ত ভট্টশালী ছিলেন একজন ব্যতিক্রমী মানুষ। তিনি মনে-প্রাণে কাজ করতেন প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে, গবেষণা করতেন, প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহ করতেন দূরদূরান্ত থেকে। তাঁর মতো মানুষকেই কেবল প্রত্নতত্ত্বের সাধক বলা সাজে।

অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, তাঁর দীর্ঘ ৩৩ বছরের কর্মজীবনের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি জাদুঘরের বিশাল সমৃদ্ধ ভাণ্ডার। আমাদেরকে উচিত নলিনিকান্ত ভট্টশালীর আদর্শ-নীতির আলোকে জাদুঘর নিয়ে কাজ করা, গবেষণা করা এবং জাদুঘরকে আরো সমৃদ্ধ করতে চেষ্টা করা।

অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, জাদুঘরের প্রতিটি নিদর্শন অত্যন্ত সুন্দর ও সুপরিকল্পিত ভাবে প্রদর্শন করা। জাদুঘর পরিদর্শন করলে আমরা জানতে পারি আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে এবং আমাদের ভেতরে আরো জানার আগ্রহ তৈরি হয়।

সভাপতির ভাষণে শিল্পী হাশেম খান প্রথমেই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রবন্ধকার অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনেওয়াজকে তাঁর এই অসাধারণ প্রবন্ধের জন্য এবং ধন্যবাদ জানান বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক জনাব আলী ইমামকে তাঁর তথ্যবহুল তথ্যচিত্রের জন্য। জাদুঘরের উন্নয়নে ড. নলিনিকান্ত ভট্টশালী জাদুঘরের জন্য যে অবদান রেখে গেছেন তা অপরিসীম।

ধন্যবাদ জ্ঞাপনে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সচিব মো. আবদুল মজিদ  ড. নলিনিকান্ত ভট্টশালীকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা জানান এবং উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠান শেষ করেন।


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon