Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৪ ডিসেম্বর ২০১৯

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে বিশিষ্ট কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন-এর স্মরণ সভার আয়োজন।


প্রকাশন তারিখ : 2019-12-02

 

     

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সাবেক সদস্য বিশিষ্ট কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইন-এর প্রয়াণে জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব কে এম খালিদ, এমপি। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইনের বড় বোন লাইলি হসেন, ছোট ভাই তারিক হাসান এবং কবি পুত্র রবীন হুসাইন। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সভাপতি ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফোকলোরবিদ বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান। সভার শুরুতেই স্থপতি ও কবি রবিউল হুসাইন কে স্মরণ করে দাড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং তাঁর আত্নার শান্তি কামনা করে দোয়া করা হয়।  

স্বাগত ভাষণে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব মো. রিয়াজ আহম্মদ বলেন, আমাদের জন্য অত্যন্ত বেদনার দিন এটা। গত তিনটি টার্মে স্থপতি ও কবি রবিউল হুসাইন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। আমি লক্ষ্য করেছি, প্রতিটি আলোচনায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেন। তিনি ছিলেন শিল্প-সমালোচক, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক ও সংস্কৃতিকর্মী। তিনি সবসময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতেন।   

প্রধান অতিথির ভাষণে জনাব কে এম খালিদ, এমপি বলেন, রবিউল হুসাইনের সাথে পরিচয় খুব বেশিদিনের হয়নি। এই মানুষটা স্থপতি পরিচয়ের চেয়ে কবি হিসেবে বেশি পরিচিত। যুগযুগ ধরে তাঁকে আমরা স্মরণ করব। তিনি সত্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সংরক্ষণের জন্য সর্বক্ষেত্রে সক্রিয়ভাবে নিজেকে যুক্ত রেখেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে এদেশের প্রগতিশীল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি হলো।

এছাড়াও উপস্থিত অতিথিদের মধ্যে শিল্পী হাসেম খান বলেন, আমি, রবিউল হুসাইন এবং মুন্তাসির মামুন তিনজন একসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ কেন্দ্রিক অনেক কাজ করেছি। এই চুপচাপ চরিত্রের মানুষটির ভিতরে  অসম্ভব রকম শক্তি ছিল। বঙ্গবন্ধু জাদুঘর নির্মাণে তাঁর উল্লেখ্যযোগ্য অবদান ছিল। তাঁর কাজের প্রতি নেশা ও সততা ছিল লক্ষণীয় বিষয়। কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী বলেন, রবিউল ভাই নানাগুণে গুণান্বিত এক জন মানুষ। পরশ্রীকাতরতা ছিলনা তাঁর ভেতরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, বন্ধু রবিউলকে প্রচণ্ডভাবে ভালবাসি। তাঁর অভাববোধ আমি অনুভব করছি প্রতিনিয়ত। নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করার মানুষ ছিলেন তিনি। উপস্থিত রবিউল হুসাইনের ছোট ভাই তারিক হাসান বলেন, ভাইয়ের সাথে আমাদের ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। বড় ভাইকে আমরা মিঞা ভাই বলে ডাকতাম। বড় ভাই আমাদেরকে পড়ালেখা করিয়ে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চেষ্টা করেছেন। দেশের বিশিষ্ট নাগরিক, কবি ও আবৃতিকারগণ স্মরণ সভায় স্মৃতিচারণ, কবিতা পাঠ ও আবৃত্তি করেন। এদের মধ্যে কবি রবিউল হুসাইনকে স্মরণ করে কবিতা পাঠ করেন কবি লায়লা আফরোজ, কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি সামাদ, কবি আলম তালুকদার, কবি হাসান আরিফ, কবি শিহাব সরকার, ড. রুপা চক্রবর্তী, কবি লিলি হক উল্লেখযোগ্য।

সভাপতির ভাষণে অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান বলেন, স্থাপত্য হচ্ছে একটা কলা বিদ্যা। কলা বিদ্যায় তাঁর যে নতুন উদ্ভাবনা তা অসাধারণ। কাজের ভেতরে তিনি যে নান্দিকতা ফুটিয়ে তুলেছেন তা সত্যিই অসাধারণ।