Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ August ২০১৯

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষ্যে সেমিনার।


প্রকাশন তারিখ : 2019-08-26

    

স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০১৯ পালন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের উদ্যোগে জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধুর কৃষি ভাবনা’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (বাকসু)-এর সাবেক ভিপি ও শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ কৃষিবিদ ড. এ. কে. এম. রফিকুল ইসলাম। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদের সম্মানিত সদস্য ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি ড. মির্জা এম. এ. জলিল। সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. সোহেলা আক্তার এবং তুলা উন্নয়ন বোডের্র নির্বাহী পরিচালক কৃষিবিদ ড. মো. ফরিদ উদ্দিন । সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব মো. রিয়াজ আহম্মদ

স্বাগত ভাষণে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সচিব মো. আবদুল মজিদ বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার গর্বিত নাগরিক আমরা। ত্রিশ লাখ শহিদের বিনিময়ে প্রাপ্ত এ বাংলাদেশকে সোনালি ফসলে ভরপুর দেখতে চেয়েছিলেন। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরামর্শে আজকে আমরা আয়োজন করেছি বঙ্গবন্ধুর কৃষি ভাবনা শীর্ষক সেমিনার। আজকের সেমিনারের মাধ্যমে কৃষি ক্ষেত্র উন্নয়নের জন্য জাতির পিতার ভূমিকা সম্পর্কে অনেক জানা অজানা কথা জানতে পারব।   

­­­­­মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে কৃষিবিদ ড. এ কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালীর ইতিহাসে একজন মহাপুরুষ, চির সংগ্রামী একজন জননেতা, যিনি ছিলেন বাংলার কৃষি খেটে খাওয়া মানুষদের বন্ধু। তিনি বাংলার প্রত্যেক মানুষের জীবনের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজন আহার, কাপড়, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও কাজের সুযোগ সৃষ্টির জন্য নিজেকে বিসর্জন দিয়েছেন। বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ে তিনি ছিলেন আপসহীন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে সোনার বাংলাই রূপান্তরের জন্য প্রচেষ্টা শুরু হয় কৃষি বিপ্লবের। কৃষকের সব বকেয়া খাজনা ও সুদ তিনি মাফ করে দেন। বাংলাদেশ বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। তার শুরুটা করেছিলেন বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর অসমাপ্ত কাজটুকু সম্পন্ন করছেন তাঁরই সুযোগ্য উত্তরসূরি কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা। কৃষি ও কৃষকদরদী বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের কথা জাতি আজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।

সম্মানিত আলোচকের বক্তব্যে কৃষিবিদ ড. সোহেলা আক্তার বলেন, কৃষি আধুনিকায়নে বিশ্বাসী ছিলেন বঙ্গবন্ধু। উন্নত ও স্বল্প মেয়াদী পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য তিন সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতেন। তাঁর অবদানের জন্যই বাংলাদেশ আজকে পৃথিবীর বুকে রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁর অবদানের ফলস্বরূপ আজকে আমরা ফল ফুল সবজি ফসলে পরিপূর্ণ। বাঙালি জাতি তাঁকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। কারন তিনিই ছিলেন বাঙ্গালীর চিরকালের পথ প্রদর্শক। 

কৃষিবিদ ড. মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভেতরে দূরদর্শিতা বৈশিষ্টটা ছিল প্রখর। তিনি ভাবতেন দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কৃষি উন্নয়ন আবশ্যক। কৃষি উন্নয়ন করতে হলে ফলন বাড়াতে হবে। আর ফলন বাড়ানোর জন্য কৃষি গবেষণা প্রয়োজন। এই প্রয়োজন থেকেই প্রাতিষ্ঠানিক কৃষি উন্নয়নের জন্য কাজ করেছিলেন। তিনি কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্থাপন, পুনঃসংস্কার, উন্নয়ন এবং ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, উদ্যান উন্নয়ন বোর্ড, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সি, ইক্ষু গবেষণা প্রতিষ্ঠান, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনসহ অনেক নতুন প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মির্জা এম. এ. জলিল বলেন, বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন, কৃষিই যেহেতু এ দেশের জাতীয় আয়ের প্রধান উৎস তাই কৃষির উন্নতিই হবে দেশের উন্নতি। তিনি সবসময় সমন্বিত কৃষি খামার গড়ে তোলার কথা ভাবতেন। তিনি ভাবতেন যে কোঅপারেটিভ সোসাইটির মাধ্যমে আগাতে পারলে কৃষির উৎপাদন এবং সার্বিক উন্নয়ন দুটিই মাত্রা পাওয়া যাবে। অধিক শস্য উৎপাদনের জন্য আমাদের সবার সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। বর্তমান সরকার যে কল্যাণধর্মী ও কৃষকবান্ধব উন্নয়ন নীতি কৌশল গ্রহণ করেছে তা বঙ্গবন্ধুর কৃষিভাবনারই প্রতিফলন। কেননা কৃষক ও কৃষির উন্নতির মধ্যেই নিহিত রয়েছে দেশের কল্যাণ।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব মো. রিয়াজ আহম্মদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজীবনের লালিত স্বপ্ন ছিল এদেশের শোষিত, বঞ্চিত, অবহেলিত কৃষকের মুখে হাসি ফোটানো, তাই তিনি কৃষি খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার প্রদানের পাশাপাশি কৃষি উন্নয়নের সৈনিক কৃষিবিদদের যথাযোগ্য সম্মান ও মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমরা সবাই বদ্ধপরিকর। এজন্য আমাদের দরকার সমন্বিত, আন্তরিক এবং কার্যকর পদক্ষেপ।


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon