বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর ও সোয়ান গ্রুপ যৌথভাবে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে শিল্পী কালীপদ শীল-এর একক সঙ্গীত সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। “মেঠোসুরে মাটির ঘ্রাণ” শিরোনামের এই সঙ্গীত সন্ধ্যায় স্বাগত ভাষণ দেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সচিব জনাব মো. আবদুল মজিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, বিশিষ্ট লেখক ও কণ্ঠশিল্পী জনাব মাসুদ আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সাবেক মহাপরিচালক ও বিশিষ্ট জীবনানন্দ গবেষক জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী এবং সোয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব মো. খবীর উদ্দিন খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব মো. রিয়াজ আহম্মদ। আলোচনা শেষে শিল্পী কালীপদ শীল তাঁর একক সঙ্গীত পরিবেশনা করেন। ‘দয়া করে এসো দয়াল’ গানটির মধ্যদিয়ে সঙ্গীত পরিবেশন শুরু করা হয়। এছাড়াও শিল্পী আমার পোষা পাখি গিয়াছে উড়ি, উজান গাঙ্গের নাইয়া, আমি রবনা রবনা গৃহে, মিলন হবে কত দিনে, টাকডুম টাকডুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল, গ্রামের নওজোয়ান হিন্দু-মুসলমান, উজান দেশের মাঝি ভাই ধন, চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি গানের মত জনপ্রিয়সব গান পরিবেশন করেন। শ্রোতারা বিমোহিত হয়ে শিল্পীর গান উপভোগ করেন। শিল্পী কালীপদ শীল ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতের প্রতি তাঁর বিশেষ আকর্ষণ ছিল। বিশেষ করে পল্লী সঙ্গীতে সম্রাট আব্দুল আলীম-এর সুরের মুর্ছনায় প্রভাবিত হয়ে তিনি সঙ্গীত সাধনায় মনোনিবেশ করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে তৎকালীন ঢাকা জাদুঘরে চাকুরী জীবন শুরু করেন। চাকুরীর পাশাপাশি তিনি সঙ্গীতের তালিম নেন ওস্তাদ সাধন চন্দ্র বর্মণ, ওস্তাদ মো. ফরিদ হক এবং ওস্তাদ আব্দুর রাজ্জাকের মত গুণী শিল্পীদের কাছে। এখানে উল্লেখ্য যে, শিল্পী কালীপদ শীল বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবেও তাঁর দক্ষতার স্বাক্ষর রেখে চলছেন।