Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৬ মে ২০১৯

জাদুঘরের সংগ্রহে যোগ হচ্ছে ঢাকাই মসলিন-এর আরও একটি কাপড়।


প্রকাশন তারিখ : 2018-06-10
 

ঢাকা, ১০ জুন ২০১৮। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে দৃক (বেঙ্গল মসলিন) একটি ৫০০ কাউন্টের মিহি সুতার মসলিন খণ্ড প্রদান করে । বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূর, এম.পি. বিকেল ৩টায় কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিতব্য এ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে দৃক বেঙ্গল মসলিনের নিবেদিত প্রাণ মসলিন গবেষক জনাব সাইফুল ইসলামের নিকট থেকে এই মসলিন খণ্ডটি গ্রহণ করে ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক জনাব ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বলেন, ২০১৬ সালের আয়োজিত বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর মসলিন প্রদর্শনী সারা বিশ্বে সাড়া ফেলেছিল । জনাব সাইফুল ইসলাম সাহেব মসলিন পুনরুজ্জীবনের ক্ষেত্রে অগ্রগতির বর্তমান অবস্থার ব্যাপারে আলোকপাত করবেন বলে জানান ।

অনুষ্ঠানে আলোচক রুবী গজনবী দৃকের প্রচেষ্টার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি নিজের বক্তব্য শুরু করেন । ব্রিটিশরা পুটি কার্পাস গাছের বীজ পাওয়ার পরও এত দূর আগাতে পারেনি যতটা পেরেছে দৃক, কিন্তু এখন দরকার আরো সরকারি-বেসরকারি পৃষ্টপোষকতা ।

অনুষ্ঠানে আলোচক ড. মো. ফরিদ উদ্দিন ইতিহাসের ভিত্তিতে মসলিন তৈরি তুলার ব্যাপারে বলেন । সে সময় প্রাকৃতিক ভাবে সংগৃহীত তুলা সংরক্ষণের ব্যবস্থা ছিল না । তিনি বলেন সরকারি-বেসরকারি সকলেরই এই ব্যাপারে সমন্বয়ের সাথে কাজ করতে হবে তাহলে সাফল্য আসবেই বলে তিনি জানান ।

অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপক জনাব সাইফুল ইসলাম বলেন, অনেক অঞ্চলে মসলিন উৎপাদিত হত কিন্তু বাংলার মসলিনের চাহিদা ছিল বিশ্বব্যাপী । মসলিনের সাথে দৃকের সংযুক্তির ঘটনাও তিনি জানান । মসলিনের হারানো ঐতিহ্যের ব্যাপারেও তিনি জানান মসলিনের তথ্য সংগ্রহ কিভাবে করেছেন সে ব্যাপারেও জানান । এই শিল্পের তুলা গাছটির ব্যাপারে জানান যে এই গাছ সব স্থানে পাওয়া যায় না । এই গাছের চাষ করা হয় না প্রায় ১৮০ বছরের উপরে । তিনি বলেন এই গাছ পুন: উৎপাদনের চেষ্টা চলছে এবং সাফল্য ৭০ ভাগ পর্যন্ত মিল পাওয়া যায় এই চেষ্টার ফসল ৪০০ কাউন্টের শাড়ি উৎপাদন । পশ্চিমবঙ্গের মসলিন পুনরুজ্জীবনের জন্য যে প্রচেষ্টা চলছে তার ব্যাপারেও তিনি জানান। সামনে করণীয় কাজের ব্যাপারে জানিয়ে তিনি সকলের সহযোগিতা চান মসলিন পুনরুজ্জীবনের ব্যাপারে ।

জনাব আসাদুজ্জামান নূর, এম.পি. বলেন, মসলিন এদেশের গর্বের ইতিহাস যা ইংরেজদের বিমাতা সুলভ আচরণের কারণে বিলীন হয়ে যায় । মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিজের ও এই শিল্প পুনরুজ্জীবনের ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে বলে তিনি জানান । সকলে সম্মিল্লিত ভাবে কাজ করলেই কেবল সাফল্য আসবে । তিনি বলেন, সরকারি প্রচেষ্টা আরো অনেক বাড়াতে হবে । তিনি আর্জি রাখেন কারো কাছে যদি সত্যিকার মসলিনের কোন সন্ধান থাকে তাহলে তা যেন বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডে যোগাযোগ করেন । তিনি জানান বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদান করবে ।